বিক্রি নেই , হতাশ শিল্পীরা : টেরাকোটাতে করোনার থাবা !

6th October 2020 1:56 pm বাঁকুড়া
বিক্রি নেই , হতাশ শিল্পীরা : টেরাকোটাতে করোনার থাবা !


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বিক্রি নেই, দুর্গাপুজোতে নেই টেরাকোটার কাজের বরাত করোনা পরিস্থিতিতে ধুকছে পাঁচমুড়া। হস্তশিল্পের জেলা বাঁকুড়া। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে নানান হস্তশিল্প। লাল মাটির জেলার শিল্পীদের হাতে গড়া নানান হস্তশিল্পের খ্যাতি ছড়িয়েছে রাজ্য দেশ ও বিদেশের মাটিতে। এমনি এক বিখ্যাত শিল্প টেরাকোটা। জেলার প্রাচীন একটি শিল্প টেরাকোটা শিল্প। বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার গ্রামের এই শিল্প আজ জগত সভায় সুনাম কুড়িয়েছে। প্রাচীন এই শিল্প আজও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বংশ পরম্পরায় প্রজন্মের পর প্রজন্মের হাত ধরে। জীবন জীবিকা নেশা পেশা সবই জড়িয়ে রয়েছে পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্প পাড়ায় শিল্পীদের পরিবারগুলিতে।  সারা বছর টেরাকোটার জিনিসপত্র তৈরি আর বিক্রি এভাবেই চলে শিল্পী পাড়ার শিল্পীদের সংসার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আজ এই শিল্পের ও শিল্পীদের জীবনে নিয়ে এসেছে এক ভয়ানক সংকট। মাসের পর মাস গ্রামে আসা যাওয়া নেই পর্জটকদের। নেই বাইরের ব্যবসাদাদের কাজের বরাত। সামনেই পুজোর মরসুম নেই পুজোর প্যান্ডেল বা প্রতিমা তৈরির বরাত। সব মিলিয়ে মুখ ধুবড়ে পড়েছে বাঁকুড়া টেরাকোটা গ্রামের টেরাকোটা শিল্প। বিক্রি বাটা না হওয়ায় এবং পুজোতে কাজ না পাওয়ায় চরম আর্থিক সঙ্কটে বাঁকুড়া জেলার পাঁচমুড়া গ্রামের প্রাচীন টেরাকোটা শিল্পী ও তাঁদের পরিবারগুলি ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।